বিশ্ব টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য সংঘ দিবস
17 May 2016 Latest
আজ ১৭ই মে- বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য সংঘ দিবস-২০১৬। ১৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে – “সামাজিক উন্নয়নে প্রয়োজন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভর বাণিজ্যিক উদ্যোগ ।”
বাংলাদেশে টেলিকম ও ICT তে নতুন বাণিজ্যিক উদ্যোগ তৈরি হলে একদিকে যেমন সামাজিক উন্নয়ন দ্রুততর হবে, অন্যদিকে গ্রাহক পর্যায়ে আরো সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
২০০৫ সালে তিউনিসে অনুষ্ঠিত “তথ্য সমাজের উপর বিশ্ব সম্মেলন”- এর পর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত একটি প্রস্তাবনার মাধ্যমে ১৭ই মে কে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য সংঘ দিবস দিবস হিবেসে ঘোষণা করা হয়।
১৭ মে, ১৮৬৫ সালের পূর্বে দিবসটি আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠার স্মৃতিরক্ষা বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস হিসেবে পরিচিত ছিল। ১৯৭৩ সালে মালাগা-টরেমোলিনসে আয়োজিত এক পূর্ণক্ষমতাপ্রাপ্ত সম্মেলনে প্রবর্তিত হয়।
১৮৬৫ সালের ১৭ই মে ইন্টারন্যাশনাল টেলিগ্রাফ ইউনিয়ন (আইটিইউ) প্রতিষ্ঠার পর ১৭ই মে প্রতি বছর আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ দিবস পালিত হয়ে আসছে। ১৯৩৪ সালে এটি আইটিইউ ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন নাম ধারণ করে। ২০০৬ সালের আইটিইউর সম্মেলনে দিবসটিকে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বর্তমানে বিশ্বের ১৯৩টি দেশ আইটিইউর সদস্য। আর এর কাউন্সিল সদস্য বাংলাদেশ।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে সরকারী-বেসরকারি রেডিও চ্যানেলসমূহ, টেলিভিশনে প্রামাণ্য অনুষ্ঠানসহ বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হচ্ছে এবং জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে।
এই দিবসের মূল লক্ষ্য ইন্টারনেট এবং নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে সঙ্ঘটিত সামাজিক পরিবর্তনের বৈশ্বিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এছাড়াও ডিজিটাল বৈষম্য হ্রাস করার লক্ষ্যেও কাজ করে থাকে।
ব্রডব্যান্ড বা উচ্চ গতি ও মান সম্পন্ন ইন্টারনেট সর্বব্যাপী ও সচল ডেটা আদান- প্রদান করে সুশাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, পরিবেশ, খাদ্য, জ্বালানি প্রভৃতি খাতে বৈপ্লবিক উন্নতি ঘটাচ্ছে। মানুষের আয়, কর্মসংস্থান ও জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। দিবসটি জনগণের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে আরো সচেতনতা বৃদ্ধি করবে। সফল হোক বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস, এগিয়ে যাক বাংলাদেশ।
Comments
comments
Webmaster