Mar
31

থ্রিজির সঙ্গে ফোরজি ও এলটিই লাইসেন্সও দিচ্ছে সরকার

Author // Swapno

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মোবাইল ফোনসেবার ক্ষেত্রে শুধু থ্রিজি (তৃতীয় প্রজন্ম) নয়, এর সঙ্গে ফোরজি (চতুর্থ প্রজন্ম) এবং এলটিই (লংটার্ম ইভ্যালুয়েশন) লাইসেন্সও দিতে যাচ্ছে সরকার। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এ-সংক্রান্ত খসড়া নীতিমালা প্রস্তুত করে গত বুধবার তা চূড়ান্ত করতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। বিটিআরসির ধারণা, এই লাইসেন্সের জন্য স্পেকট্রামের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে অপারেটরদের তেমন আপত্তি থাকবে না। কারণ তারা থ্রিজির সঙ্গে আরো দুই ধরনের লাইসেন্স পাচ্ছে। কিন্তু অপারেটরদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ভিন্নমত জানানো হয়েছে। তারা বলছে, প্রতিটি লাইসেন্সের ক্ষেত্রে ১০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রামের সর্বনিম্ন মূল্য প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ কেন করা হলো তা এখনো পরিষ্কার নয়। এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে কোনো অর্থনৈতিক সমীক্ষা হয়েছে কি না, তাও আমাদের জানা নেই। খসড়া নীতিমালা সম্পর্কে বিটিআরআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ জানান, 'সেলুলার মোবাইল ফোন সার্ভিস (থ্রিজি/ফোরজি/এলটিই) রেগুলেটরি লাইসেন্স গাইডলাইন-২০১২' নামের এ খসড়া নীতিমালায় মোট পাঁচটি অপারেটরকে লাইসেন্স দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের জন্য একটি লাইসেন্স বরাদ্দ থাকবে। অন্য চারটির মধ্যে দেশের বেসরকারি পাঁচ মোবাইল অপারেটরের মধ্যে তিনটি এবং নতুন একটি অপারেটরকে এ লাইসেন্স দেওয়া হবে। 
নতুন অপরেটরকে একই সঙ্গে টুজি (দ্বিতীয় প্রজন্ম) মোবাইল ফোনসেবার লাইসেন্সও দেওয়া হবে। টুজি লাইসেন্সের নীতিমালা অনুসারে ৩০ শতাংশ টাকা ছাড় দিয়ে এ লাইসেন্স দেওয়া হবে। জানা যায়, এই থ্রিজি/ফোরজি/এলটিই লাইসেন্সের জন্য বিটিআরসির খসড়া গাইডলাইনে স্পেকট্রাম ফি ছাড়াও আবেদন ফি পাঁচ লাখ টাকা, ব্যাংক গ্যারান্টি ১৫০ কোটি টাকা, লাইসেন্স ফি ১০ কোটি টাকা এবং বার্ষিক লাইসেন্স ফি পাঁচ কোটি টাকা, রেভিনিউ শেয়ারিং ৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সোশ্যাল অবলিগেশন ফি ১ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বলা হয়েছে, নিলামে যে অপারেটর স্পেকট্রামের সর্বোচ্চ দর দেবে, সেই দর অনুসারে আগ্রহী অন্য অপারেটরদের লাইসেন্স নিতে হবে। ৩ সেপ্টেম্বর নিলাম হওয়ার পর ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে অপারেটরদের এ লাইসেন্স নিতে হবে। 
নতুন অপারেটরের জন্য আরো সুবিধা : বিদ্যমান অপারেটরদের মধ্যে যারা লাইসেন্স পাবে, তাদের প্রথম ধাপে লাইসেন্স নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে দেশের ছয়টি বিভাগীয় শহরে এ সেবা চালু করতে হবে। তবে নতুন অপারেটরের জন্য এ সময়সীমা থাকবে ১২ মাস। দ্বিতীয় ধাপে পুরনো অপারেটরদের ১৮ মাসের মধ্যে এবং নতুন অপারেটরকে ২৪ মাসের মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগ জেলায় এ সেবা সম্প্রসারণ করতে হবে। আর তৃতীয় বা শেষ ধাপে ৩৬ মাসের মধ্যে পুরো দেশে পুরনো-নতুন সব অপারেটরকেই এ সেবা সম্প্রসারণ করতে হবে।