Apr
02

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন তফসিল ১৫ এপ্রিলের মধ্যে

Author // Swapno

আগামী ৪ এপ্রিল বুধবার আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর ১৫ এপ্রিলের মধ্যে যেকোনো দিন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত রবিবার ৪ এপ্রিলের ওই আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক বৈঠকে যোগ দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, এনএসআই, ডিজিএফআই ও কোস্টগার্ড প্রধান, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে ইসি সচিবালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী জানান, 'ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিচ্ছন্ন ও সুষ্ঠুভাবে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা তফসিল ঘোষণার আগেই এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাই।' নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ঢাকার দুই সিটির দুটি করে মোট চারটি সাধারণ ওয়ার্ডে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। ইসি সচিবালয় থেকে সেনাবাহিনী পরিচালিত বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিকে (বিএমটিএফ) চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, আগামী ২ মের মধ্যে ১০০টি এবং ১৫ মের মধ্যে এক হাজার ইভিএম সরবরাহ করতে হবে। এ সব ইভিএম ব্যবহারের জন্য এক হাজার ২০০ ব্যাটারির চাহিদাও জানানো হয়েছে।ঢাকার এ দুই সিটির নির্বাচনের জন্য প্রায় ৩৮ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে ইসির ধারণা। ইসির প্রস্তাবিত এই বাজেটে ২০ কোটি টাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য এবং পাঁচ কোটি টাকা ইভিএম ব্যবহারের জন্য বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। বাকি ১৩ কোটি টাকা খরচ হবে নির্বাচন পরিচালনার কাজে। নির্বাচন কমিশনার মো. জাবেদ আলী নির্বাচনে আগাম প্রচারণার উদ্দেশ্যে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিলবোর্ড-পোস্টার, ফেস্টুন, ব্যানার, দেয়াল লিখন ও তোরণ অপসারণ বিষয়ে আদালতের নির্দেশ সম্পর্কে বলেন, এর অনুলিপি এখনো আমাদের হাতে পৌঁছেনি। তবে তফসিল ঘোষণার পর এ ধরনের প্রচারণা সহ্য করা হবে না। গত ১৮ মার্চ হাইকোর্ট রাজধানীতে আইন অমান্য করে লাগানো সব পোস্টার, ফেস্টুন, ব্যানার, দেয়াল লিখন এবং তোরণসহ বিভিন্ন প্রচারপত্র ১০ দিনের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের (দক্ষিণ ও উত্তর) প্রশাসককে এ আদেশ পালন করতে বলা হয়। দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, পরিবেশসচিব, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের (উত্তর ও দক্ষিণ) প্রশাসককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।