Apr
04

২০১০ সালের প্রথম চলচ্চিত্র দিবসে পুরস্কৃত বিজয়ীরা

Author // Swapno

প্রতিবছরের ৩ এপ্রিল জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস ঘোষণা এবং প্রথম চলচ্চিত্র দিবসে ২০১০ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস মঙ্গলবার ৩ এপ্রিল বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার প্রদানের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার শুভেচ্ছ বক্তব্যে বলেন, ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল প্রাদেশিক আইন পরিষদে তৎকালীন শিল্প, বাণিজ্য ও শ্রম মন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান উত্থাপিত ‘পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা’ বিলটি পাশ হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এফডিসি। ঐতিহাসিক এ দিনটিকে এ বছর থেকে আমরা ‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছি। প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসে ২০১০ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা তুলে দিতে পারায় আমি আনন্দিত।’ ২০১০ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ২৫ জন শিল্পী ও কলাকুশলী। এ ছাড়াও চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য বিশেষ অবদানের জন্য অভিনেতা আনোয়ার হোসেনকে দেওয়া হয় আজীবন সম্মাননা। 
২০১০ সালের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কৃত হয়েছে ‘গহীনে শব্দ’।একই চলচ্চিত্রের জন্য খালিদ মাহমুদ মিঠু পান শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার। একই চলচ্চিত্রের জন্য খালিদ মাহমুদ মিঠু পান শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার। ‘ভালবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে শাকিব খান এবং ‘ওরা আমাকে ভাল হতে দিল না’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন পূর্ণিমা। ‘জীবন মরণের সাথী’ ছবিতে আলমগীর শ্রেষ্ঠ সহঅভিনেতা এবং ‘ভালবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য রোমানা শ্রেষ্ঠ সহঅভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কার পান। ‘ভালবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ ছবির ‘বুকেরই ভিতরে যতন’ গানটির জন্য এসআই টুটুল শ্রেষ্ঠ গায়ক, একই ছবির ‘ভালবেসেই সবার সাথে ’ গানের জন্য শাম্মী আক্তার শ্রেষ্ঠ গায়িকা এবং শেখ সাদী খান শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন। 
‘নিঃশ্বাস আমার তুমি’ ছবিতে ‘রূপালী রাত নেমেছে’ গানটির জন্য শ্রেষ্ঠ গীতিকারের পুরস্কার গ্রহণ করেন কবীর বকুল। ‘অবুঝ বউ’ চলচ্চিত্রের জন্য সুজেয় শ্যাম শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক ও ‘মোঘল-এ-আজম’ ছবির জন্য ইমদাদুল হক খোকন শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালকের পুরস্কার পান। এছাড়া শ্রেষ্ঠ খল চরিত্রে মিজু আহমেদ, কৌতুক চরিত্রে আফজাল শরীফ, শিশু শিল্পী প্রার্থনা ফার্দিন দিঘী, কাহিনীকার জাকির হোসেন রাজু, চিত্রনাট্যকার নারগিস আক্তার, সংলাপ রচয়িতা জাকির হোসেন রাজু, চিত্রগ্রাহক হাসান আহমেদ, শব্দগ্রাহক কাজী সেলিম, সম্পাদক মজিবুর রহমান দুলু, শিল্প নির্দেশক মহিউদ্দিন ফারুক, মেকাপম্যান আব্দুর রহমান এবং শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জায় বিবি রাসেল পুরস্কার পান।